Monday, November 16, 2015

একটি শিক্ষণীয় গল্প, মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন।


এক দেশে এক রাজা ছিলেন, রাজার দরবারে
অনেক দাস, দাসি ছিল। সে সবার সাথে
ভালো ব্যাবহার করতো, কিন্তু একজন দাসিকে
সে খুব ভালোবাসতো, এই নিয়ে রাজমহলে
অনেকেই অনেক কথা বলেন।
কেউ বলেন রাজ্যে এতো সুন্দরি মেয়েরা
থাকতে রাজা কিনা একজন দাসিকে
ভালবাসলেন? আরও অনেক রকম মন্তব্য
করতেন।
একদিন রাজার এক বন্ধু রাজাকে বললেন,
বন্ধু তুমি কি জানো তোমাকে নিয়ে প্রজারা
অনেক বাজে মন্তব্য করে?
রাজা বললেন কেন?
বন্ধু বললেন, তুমি রাজ্যে এতো সুন্দরী
মেয়েরা থাকতে একটি সামান্য দাসির
সাথে কেন সম্পর্কে জড়ালে?
তখন রাজা বললেন, একটা সুন্দরী মহিলাদের
আয়জন করো, এই আয়োজনে সব সুন্দরী মেয়েরা
থাকবেন এখান থেকে যাকে আমার পছন্দ হবে
থাকেই আমি বিয়ে করবো।
তো দিন তারিখ ঠিক হলো, রাজ্যের সব
সুন্দরী মেয়েরা রাজার দরবারে হাজির, এই
প্রত্যাশায় যদি রাজার পছন্দ হয়ে যায় তবে
তার সাথে বিয়ে হবে।
সময় মতো রাজা ও সেই দাসি এবং সবাই
হাজির হলেন, রাজা তার সব ধন-সম্পধ,
হীরা, মনি মুক্তা ইত্যাদি সবার সামনে
রাখলেন আর বললেন আমি পছন্দ করবো পরে,
আগে যার যা সম্পদ দরকার এখান থেকে
নিয়ে নাও, তারপর আমি পছন্দ করবো কাকে
আমি বিয়ে করবো।
তো যারা এসেছিলেন সবাই সবার ইচ্ছে
মতো, মনিমুক্তা, হীরা, টাকা-পয়সা নিলেন,
কিন্তু সেই দাসীটি কিছু না নিয়ে রাজার
পাঞ্জাবীতে ধরে রাখলেন। সবার সব কিছু
যখন নেয়া শেষ হলো দেখা গেল সবাই
নিয়েছেন কিন্তু সেই দাসি কিছু নেন নাই
তিনি রাজার পাশে গিয়ে রাজার পাঞ্জাবী
ধরে আছেন।
তো সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন ” হে
দাসি তুমি তো গরিব তোমার অনেক কিছু
দরকার কিন্তু তুমি কিছু না নিয়ে রাজার
পাঞ্জাবী ধরে রেখেছ কেন?”
উত্তরে দাসি বলল ”আপনার তো সম্পদ
নিয়েছেন কিন্তু আমি এই সম্পধের মালিকের
হয়ে যেতে চাই, যদি আমি এই সম্পদের
মালিকের হয়ে যেতে পারি তবে তো সব
সম্পদই আমার, তাই আমি সম্পদের মালিকের
পাঞ্জাবী ধরে রেখেছি।”
তখন রাজা বললেন এবার হয়তো সবাই বুঝতে
পেরেছ আমি কেন রাজ্যের এতো সুন্দরী রেখে
দাসিকে ভালবাসি? সবাই বললেন হ্যাঁ
বুঝতে পেরেছি।
শিক্ষাঃ আর এভাবেই আমরা দুনিয়ার সম্পধ
নিয়ে ব্যাস্ত থাকি, কিন্তু আমরা একবারও
চিন্তা করিনা যে এই সম্পদের মালিক,
আমরা যদি তার হয়ে যাই তবে এই দুনিয়ার
সবকিছুই আমাদের।
তাই আসুন দুনিয়ার সম্পদ নয় এই সম্পদের
মালিকের খুঁজ করি। আর এটাই হবে আমাদের
পরম পাওয়া।
এই লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করবেন।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার
তৌফিক দান করুন,,,,আমিন।।

ফরয গোসল করার সঠিক নিয়ম




ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অসংখ্য মুসলিম ভাই- বোনের সালাত সহ নানা আমল কবুল হয় না। যেটা ঈমানের ক্ষেত্রে চরম ভয়ানক ব্যাপার।
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)।



ফরজ গোসলের ফরজ সমূহ হলো-
গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল obligatory bath আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।


১. গড়গড়া কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা।


ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।


২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।


৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।


৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুইয়ে পেলতে হবে।


৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।


৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।


৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।


৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।


অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।


২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।


(আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুর’আন ও সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দিক এবং পূর্বের না জেনে করা ভুল ক্ষমা করুক। আমিন।)

Sunday, November 15, 2015

১০টি সহজ যিকির করলে যার প্রতিদান হবে সরাসরি জান্নাত

 যে ১০ টি  সহজ যিকির প্রতিদিন পাঠ করলে মৃত্যুর পর পাবেন জান্নাত। তবে হ্যা আগে ”’নামাজ”, সেটা তো সবাই জানেনই। ইসলামের মূল যে ৫ ভিত্তি, সেগুলা যেনো আমাদের হেলায় না যায়।




 যে সহজ (১০ দশটি) আযকার যিকির প্রতিদিন করলে মৃত্যুর পর পাবেন জান্নাত ।

(১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]

(২) ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

(৩) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

(৪) ‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর’ এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]

(৫) যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। [সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১]

(৬) নবী (সা.) বলেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বি –হামদিহী সুবহানাল্লাহিল আযীম’ এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী, দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয় । [সহিহ আল- বুখারী-৭/ ১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]

(৭) যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি হামদিহী’ পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী) খেজুর গাছ রোপন করা হবে । [আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০]

(৮) নবী (সা.) বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। [ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬]

(৯) নবী (সা.) বলেন, ‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ এই কালীমাগুলি হচ্ছে “অবশিষ্ট নেকআ’মল সমুহ”। [ আহমাদ (সহীহ)-৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭ ]

(১০) নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বরষন করবেন-

“আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লায়তা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ এবং তিনি (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে ।”

 [তাবারানী, মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]

Friday, November 13, 2015

জুমু‘আর নামায ফরয হবার বিবরণ


 

لِقَوْلِ اللهِ تَعَالَى }إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ{

فاسعوا : فامضوا

এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘জুম‘আর দিনে যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের প্রতি ধাবিত হও এবং বন্ধ করে দাও বেচা- কেনা। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।’’ فاسعوا অর্থ ধাবিত হও। (সূরাহ্ আল-জুমু‘আহ ৬২/৯)


৮৭৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু ক্বিয়ামাতের দিন আমরা মর্যাদার ব্যাপারে সবার পূর্বে। ব্যতিক্রম এই যে, আমাদের পূর্বে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে। অতঃপর তাদের সে দিন যে দিন তাদের জন্য ইবাদত ফরজ করা হয়েছিল তারা এ বিষয়ে মতভেদ করেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আল্লাহ্ আমাদের হিদায়াত করেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে লোকেরা আমাদের পশ্চাদ্বর্তী। ইয়াহূদীদের (সম্মানীয় দিন হচ্ছে) আগামী কাল (শনিবার) এবং নাসারাদের আগামী পরশু (রোববার)। (২৩৮; মুসলিম ৭/৫, হাঃ ৮৫৫, আহমাদ ৭৩১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮২৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৮৩২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

Thursday, November 12, 2015

কাজী নজরুল ইসলাম এর ইসলামিক গজল, হাম্‌দ ও না’ত- ফ্রি ডাউনলোড করুন।



আল্লাহু আল্লাহু, তুমি জাল্লে জালা লুহু....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Allahu-Allahu-Tumi-Jalla-Jalaluhu.mp3

খোদা তোমার মেহেরবানী....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Khoda-Tomar-Meherbani.mp3

আল্লা’কে যে পাইতে চায়....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Allah-ke-Je-Paite-Chai.mp3

মহান আল্লাহর মোজে’জা....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Mohan-Allaher-Mojeja.mp3

পানা দে, পানা দে আল্লাহ....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Pana-De-Pana-De-Allah.mp3

শোন শোন ইয়া এলাহী....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Shono-Shono-Ya-Elahi.mp3

আল্লাহ রছুল জপার গুনে....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Allah-Rasul-Joper-Gune.mp3

মুহাম্মদের নাম জপেছিলি....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Muhammader-Naam-Jopechili.mp3

নবী মোর পরশমনি, নবী মোর....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Nobi-Mor-Porosh-Moni.mp3

ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Tribhoboner-Prio-Muhammad.mp3

তাওহীদেরই মুর্শিদ আমার....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Tawheeded-e-Murshid.mp3

সাহারাতে ফুটল রে ফুল....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Shaharate-Phutlore-Phul-Rongin.mp3

ঘুমিয়ে আছেন নবীজী....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Ghumiye-Achen-Nobiji.mp3

ওগো নুর নবী হযরত....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Ogo-Noor-Nabi-Hazrat.mp3

হেরা হতে এলে দুলে....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Hera-Hote-Ele-Dule.mp3

বাজে দামামা, বাজে রে আমামা....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Bajhe-Damama-Badhre-Amama.mp3

ধরার পথে শহীদ যারা....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Dhormer-Pothe-Shohid-Zara-Amra-Shei-Jati.mp3

করতে চাইলে জীবন সফল....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Korte-Chaile-Jibon-Shofol.mp3

মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Mashjid-Eri-Pashe-Amar-Kobor-Dio-Bhai.mp3

আমি যদি আরব হতাম....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Ami-jodi-Arab-Hotam.mp3

মনে বড় আশা ছিলো....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Mone-Boro-Asha-Chilo-Jabo-Modinay.mp3

রমজানের ঐ রোজার শেষে....


Download: http://www.ourholyquran.com/hamd-o-naats/Ramzaner-Oi-Rozar-Sheshe-Elo-Khushir-Eid.mp3
 

একটি সুন্দর হাদীস-- জুম্মার নামাজ পড়া নিয়ে --পড়ুন

 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"জুম'আর সালাতে ৩ ধরনের লোক
হাজির হয় ।
১. এক ধরনের লোক আছে, যারা আল্লাহর
মসজিদে প্রবেশের পর
তামাশা করে,
তারা বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ
থেকে তামাশা ছাড়া কিছুই
পাবে না । ২. দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক
আছে,
যারা জুমু'আয় হাজির হয়,
সেখানে কিছু
দোয়া মোনাজাত করে,
ফলে আল্লাহ যাকে চান
তাকে কিছু দেন আর
যাকে ইচ্ছা দেন
না ।
৩. তৃতীয় প্রকার লোক
যারা জুম'আয় হাজির হয়;
চুপচাপ থাকে,
মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে,
কারো ঘাড়
ডিঙিয়ে সামনে আগায় না,
কাউকে কষ্ট দেয় না, তাদের ২ জুম'আর মধ্যবর্তী ৭
দিন সহ আর ও ৩ দিন যোগ
করে মোট ১০ দিনের
গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন"
[আবু দাউদ]
আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকে তৃত্বীয় প্রকারের লোক হওয়ার তাওফিক দান করুক।

৭০ জন শহীদ হয়েছে উহুদের যুদ্ধে! নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নেই।

 
 উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে। সকল
শহীদের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। কিন্তু
নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ বাকী ২ টা নেই।
...
একজন তার চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন
হানজালা (রাঃ)।
অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সকল
সাহাবাদের
পাঠাইলেন লাশ খুজার জন্য ...হঠাৎ বোরকা
পরিহিত
একজন মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির কাছে।
নবী
তাকে চিনলেন না। মহিলা বললেন; ইয়া
রাসুল্লাহ
আজকে আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন
মনে
আছে? নবীজি বলেন, হ্যা আমি তো
হানজালার
বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি
খুরমা
খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। মহিলা বললেন, ইয়া
রাসুল্লাহ!
আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও
শুখায় নাই। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল আর
রাত
২ টা বাজে উহুদের যুদ্ধের জন্য বের হয়ে
গেছে হাঞ্জেলা। বাসররাতে উনার সাথে
আমার
ভালোভাবে পরিচয়ই হয় নাই। যাওয়ার আগে
শুধু
বলে গেছেন "যদি দেখা হয় তাহলে দেখা
হবে দুনিয়ায়” আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে
দেখা হবে জান্নাতে"। মহিলা বললেন ইয়া
রাসুল্লাহ
যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্মন
করে
গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই আপনার
জন্য
গোসল ফরজ। নবীজি কাঁদতেছেন। মহিলা
বললেন ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি
গোসল দেন না, আমার স্বামীকে আপনি একটু
গোসল দিয়েন? নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার
পর
একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া
রাসুল্লাহ হানজালা
কে পাওয়া গেছে। .........সবাই গেলেন। গিয়ে
দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের
মাথায় পানি।
নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন। জিবরাঈল
আসলো! ...এসে বলল; ইয়া রাসুল্লাহ
হানজালার
কোরবানিতে আল্লাহ্ পাক এতটাই খুশি
হয়েছে
যে আমার বাহিনীকে আদেশ করলেন তাকে
নিয়ে আসতে। ...ইয়া রাসুল্লাহ আমরা
ফেরেশতারা
তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি
দিয়ে গোসল করিয়েছে এবং তার শরীরে
থেকে যে সুগন্ধ পাচ্ছেন, এটা আল্লাহ্
পাকের
বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আতরের ঘ্রাণ ।
আমরাই
উনাকে কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত করেছি।
।......
সুবহানআল্লাহ !!! আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় মানুষকে
কি
পরিমাণ ভালবাসেন, কি পরিমাণ সম্মানিত
করেন তা
আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, "হে আল্লাহ্ _ আপনি
আমাদেরকে সফল মানুষদের পথের পথিক
হওয়ার তওফিক দান করুন, আমিন।